পরিবেশ রক্ষায় কক্সবাজারে ৭০০ একর বনভূমির বরাদ্দ বাতিল
সরকার কক্সবাজারের ঝিলংজা মৌজায় ৭০০ একর বনভূমির বরাদ্দ বাতিল করেছে, যা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নির্মাণে ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। বনভূমি সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য নেওয়া এই পদক্ষেপকে পরিবেশবাদীরা স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের পরামর্শে এই বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। কক্সবাজারে বনভূমি
কেন বাতিল করা হলো বরাদ্দ?
ঝিলংজা অঞ্চলের এই ৭০০ একর বনভূমি, যার মধ্যে ৪০০ একর ‘পাহাড়’ এবং ৩০০ একর ‘ছড়া’ শ্রেণিভুক্ত, ১৯৩৫ সাল থেকেই সংরক্ষিত। এতে প্রাচীন প্রজাতির গাছপালা যেমন গর্জন, চাপালিশ এবং তেলসুর রয়েছে এবং এটি হাতি, বানর, বন্য শুকরের মতো প্রাণীর প্রাকৃতিক আশ্রয়স্থল। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ সালে এই এলাকায় ব্যাপক বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ বাতিল করে পরিবেশ রক্ষার লক্ষ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
আদালতের সিদ্ধান্ত ও জনস্বার্থ
এই বরাদ্দ বাতিলের জন্য পরিবেশবাদী সংগঠন ও বন বিভাগ একাধিক মামলা করেছে, যার ফলে উচ্চ আদালত বরাদ্দের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ১৯৯৯ সালে ঝিলংজা ইউনিয়নকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে বনভূমিতে গাছ কাটা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি নিষিদ্ধ করা হয়। দেশে বনভূমির পরিমাণ ইতিমধ্যে কম থাকায়, এই বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত পরিবেশবাদী আন্দোলনের একটি জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। কক্সবাজারে বনভূমি
পরিবেশ রক্ষায় সরকার ও আমাদের দায়িত্ব
জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধান ও জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সনদের অধীনে বন সংরক্ষণে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের এই পদক্ষেপ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত পৃথিবী গড়ার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
CTA:পরিবেশ রক্ষায় আপনার মতামত ও সমর্থন দিন। বনভূমি সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলুন এবং এই উদ্যোগে অংশ নিন, যাতে আমরা আমাদের পরিবেশকে আরও সুরক্ষিত রাখতে পারি।