কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অবৈধভাবে চলা ‘মেসার্স মা ব্রিকস’ নামের ইটভাটাটি গত ২৩ ডিসেম্বর প্রশাসনের অভিযান থেকে ধ্বংস হয়েছে। ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা এই ইটভাটাটি দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যগত নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় এলাকায় দূষণ সৃষ্টি করছিল। প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই ইটভাটাটি বন্ধ করার পর এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং এর অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পদক্ষেপ
এই অভিযান, যা কুমিল্লার কাশিনগর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে পরিচালিত হয়, ছিল পরিবেশ সুরক্ষার এক বড় পদক্ষেপ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সরওয়ার লিমা। সবার সহযোগিতায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, আগুন নিভিয়ে এবং কাঁচা ইট ধ্বংস করে অবৈধ ইটভাটাটিকে সম্পূর্ণভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে—এ ধরনের অভিযান কেবল আইনি পদক্ষেপ হিসেবে কেন গুরুত্বপূর্ণ? কারণ, এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রম শুধু পরিবেশের ক্ষতি করে না, বরং আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাস, জীবনযাত্রা এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও তীব্র করে তোলে।
পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের দায়
প্রশাসনের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, তবে একে সাফল্য হিসেবে ধরে রাখার জন্য আমাদের সবার সচেতন হওয়া জরুরি। অবৈধ ইটভাটা নির্মাণের ফলে যা দূষণ সৃষ্টি হয়, তা শুধু স্থানীয় জনগণের জন্য নয়, পুরো দেশের পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য আমাদের সবার উচিত পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে অংশ নেওয়া।
আপনি কি পরিবেশকে রক্ষা করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি কি গাছ লাগিয়েছেন, কীভাবে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন করছেন তা ভাবুন। স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি, আপনিও পরিবেশ সচেতনতার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। সচেতনতা, উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব। অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস
ভবিষ্যতের জন্য আমাদের করণীয়
এই অভিযান আমাদের শেখায় যে, পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। শুধু প্রশাসন নয়, আমাদের সবার উচিত অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো এবং পরিবেশ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে আপনার ছোট্ট পদক্ষেপও একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
চলুন, আমরা সবাই একসাথে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করি। আপনার ছোট্ট উদ্যোগও বড় পার্থক্য গড়ে তুলতে পারে!