বায়ুদূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের সময়ের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এর একটি বড় অংশ অবৈধ ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম, যা বায়ু দূষণ এবং কার্বন নিঃসরণ বাড়ায়। সম্প্রতি, পরিবেশ অধিদপ্তর এই অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সোমবারের অভিযানে ১১টি ইটভাটা বন্ধ এবং আরও ১৫টি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিবেশ মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে যে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করছে।
অবৈধ ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ
পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার ১১টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। একই সাথে ১৫টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযান দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত হয়েছে, যেখানে অবৈধ ইটভাটাগুলো পরিবেশ দূষণের জন্য প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করছে। অভিযানের অংশ হিসেবে নতুন করে ৩৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ১ কোটি ২৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ অভিযান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারা দেশে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ৯৭টি মামলা দায়ের করেছে এবং ২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এছাড়াও ৩২টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।
অন্যান্য পরিবেশ দূষণ রোধে উদ্যোগ
অভিযানে শুধু ইটভাটা নয়, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, শব্দদূষণ, এবং পলিথিনবিরোধী কার্যক্রমেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কালো ধোঁয়া নির্গমনের জন্য সাতজন চালককে সতর্ক করা হয়েছে, এবং শব্দদূষণ প্রতিরোধে সাতটি যানবাহনের চালককে সতর্ক করা হয়েছে ও তিনটি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া পলিথিনবিরোধী অভিযানে ২৯ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ এবং তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের অব্যাহত পদক্ষেপ
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এই অভিযানগুলো পরিচালনা করছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দূষণবিরোধী এই বিশেষ অভিযান চলমান থাকবে। অবৈধ ইটভাটা এবং অন্যান্য দূষণকারীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া পরিবেশ রক্ষায় একটি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।
পাঠকদের জন্য বার্তা
অবৈধ ইটভাটা বন্ধে সরকারের এই পদক্ষেপ জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, পরিবেশ রক্ষায় আমাদের সবারই দায়িত্ব রয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আপনার মতামত কী? আপনি কি মনে করেন, এই ধরনের অভিযান পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর হবে? আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের জানান। পরিবেশ সংরক্ষণে আরও খবর পেতে আমাদের সাইটটি অনুসরণ করুন এবং নতুন আপডেটের জন্য সাবস্ক্রাইব করুন।