২০২৪ বছরের শেষের দিকে এসে বিজ্ঞানীরা আবারও পৃথিবী ও মানবতার সামনে এক গুরুতর সতর্কতা উত্থাপন করছেন। বৈশ্বিক তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলির মতে, ২০২৪ হতে যাচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ বছর, এবং তা একই সাথে সেই বছরের সূচনায় নির্ধারিত ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস গ্লোবাল ওয়ার্মিং সীমাও অতিক্রম করবে। তবে এটি শুধুই সঙ্কট নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য এক গভীর উদ্বেগ। কেননা, আজকের পৃথিবী যদি এতই উষ্ণ হয়ে থাকে, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য পৃথিবী কতটা অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে, তা ভাবলেই শিউরে ওঠা যায়। পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বছর
এবং এখানেই আসে এক মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা, যাকে বলা হয় শিফটিং বেসলাইন সিনড্রোম। জলবায়ু পরিবর্তন যখন ধীরে ধীরে আমাদের জীবনে পরিবর্তন আনে, তখন আমরা আস্তে আস্তে তা স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিতে শুরু করি। শিফটিং বেসলাইন সিনড্রোম আমাদের পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয় এবং আসল সমস্যাকে আমরা দুর্বলভাবে অনুধাবন করি। এই মানসিক প্রভাব জলবায়ু সংকটের প্রতিক্রিয়া আরও বাড়িয়ে দেয়, কারণ এ কারণে আমরা জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারি না।
২০২৪: ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২০২৩ ছিল ১৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ বছর। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, ২০২৩ ছিল ২০১৬ সালের তুলনায় প্রায় ০.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণ। তবে, ২০২৪ আরো উষ্ণ হতে চলেছে। গত কয়েক বছরে যে “এল নিও” পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ানোর অন্যতম কারণ। এল নিও একটি মৌসুমী পরিবর্তন যা প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধি ঘটায় এবং এর প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। এটি গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিণতি হিসেবে গণ্য করা হয়, যার ফলে পৃথিবী গরম হয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২৪ হবে এমন একটি বছর, যা আগামী কয়েক দশকে পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল বছর হিসেবে দেখা হবে। কেননা, ভবিষ্যতে তাপমাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে, যেখানে আমরা শুধুমাত্র তাপমাত্রার উচ্চতা নয়, বরং অন্যান্য পরিবেশগত বিপর্যয়ও মোকাবিলা করতে বাধ্য হব। এক কথায়, ভবিষ্যত পৃথিবী ২০২৪ এর তুলনায় অনেক গরম, আর্দ্র এবং বিপর্যস্ত হবে। পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বছর
শিফটিং বেসলাইন সিনড্রোম: এক মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া
মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমরা সময়ের সাথে সাথে পরিবেশের পরিবর্তনকে স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করি। শিফটিং বেসলাইন সিনড্রোমের মূল কারণ হলো, মানুষ তার বর্তমান পরিস্থিতির সাথে দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যায়। আমরা যদি এখন গরম আবহাওয়া, ভারী বৃষ্টি বা আর্দ্রতা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করি, তবে আগামী প্রজন্মের জন্য এটি ‘স্বাভাবিক’ হয়ে দাঁড়াবে। নতুন প্রজন্ম যখন শিখবে, তাদের কাছে এই পরিস্থিতি এমন কিছু হবে, যা তারা একেবারেই অস্বাভাবিক মনে করবে না।
এমনকি যদি আগের প্রজন্মের তুলনায় পরিবেশের অবনতি ঘটে থাকে, নতুন প্রজন্ম সে বিষয়ে সচেতন হবে না। এই মনস্তাত্ত্বিক বিপত্তি আমাদেরকে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার বদলে, আমাদের শঙ্কা কমিয়ে দেয় এবং জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইকে বাধাগ্রস্ত করে। পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বছর
পরিবর্তনের প্রভাব এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান
২০২৩ সালের পর ২০২৪ বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা যে উচ্চতায় পৌঁছাবে, তা ইতোমধ্যেই বিজ্ঞানীদের দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে। গ্যাভিন শ্মিডট, নাসার গড্ডার ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজ-এর পরিচালক, বলেছেন, “২০২৩ এবং ২০২৪ খুবই বিশেষ বছর। গত কয়েক বছরে গরমের প্রবণতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।” বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণ সোজাসাপ্টা। এটি মানবসৃষ্ট গ্রীনহাউস গ্যাস, যা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে।
এদিকে, শ্মিডট আরও জানান, ভবিষ্যতে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করা প্রায় নিশ্চিত। এটি মানবজাতির জন্য একটি অপ্রতিরোধ্য সংকেত, যা আমাদেরকে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবে, তা বলা যায় না। ২০২৪ এবং তার পরবর্তী দশকগুলো আমাদের জীবনে পরিবেশগত বিপর্যয়ের আরও কঠোর পরিণতি নিয়ে আসবে, যেমন অতিরিক্ত তাপ, বন্যা, খরা এবং দাবানল।
বয়স অনুযায়ী পরিবেশবোধের পরিবর্তন
শিফটিং বেসলাইন সিনড্রোম শুধু আমাদের মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি আমাদের প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশবোধের অদলবদলও ঘটায়। নতুন প্রজন্মের কাছে পরিবেশের অবস্থা অনেকটাই ‘স্বাভাবিক’ মনে হবে, কারণ তারা যা দেখছে তা নিয়ে তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। তবে পুরনো প্রজন্মের সদস্যরা সেই পরিবেশগত পরিবর্তনগুলোকে অনেক বেশি স্পষ্টভাবে অনুভব করছে। এর ফলে, তরুণদের মধ্যে পরিবেশগত উদ্বেগ কম হয়ে যাচ্ছে।
এটি একটি মারাত্মক সমস্যা হতে পারে, কারণ যদি মানুষের মধ্যে পরিবেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ না থাকে, তবে তারা পরিবেশ রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। শিফটিং বেসলাইন সিনড্রোম পরিবেশ সচেতনতা কমিয়ে দেয়, যার ফলস্বরূপ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানোর দিকে আমাদের পদক্ষেপ ধীর হয়ে যেতে পারে।
পরিবর্তন আনার উপায়:
পরিবর্তন আনার জন্য শুধুমাত্র একক পদক্ষেপের প্রয়োজন নয়, বরং একাধিক বৈজ্ঞানিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক স্তরের সহযোগিতার মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ আলোচনা করা হলো যা বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট সমাধানে সহায়ক হতে পারে:
১. জলবায়ু শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি:
শিফটিং বেসলাইন সিনড্রোমের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে এবং মানুষের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে একটি দীর্ঘমেয়াদী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য স্কুল, কলেজ এবং বিভিন্ন প্রচারমূলক প্ল্যাটফর্মে জলবায়ু পরিবর্তন এবং তার প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন।
এছাড়া, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলির মাধ্যমে জলবায়ু সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফল এবং সর্বশেষ তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছানো উচিত। সামাজিক মাধ্যমের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোও এই সচেতনতার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সুতরাং, জলবায়ু সংক্রান্ত ক্যাম্পেইন, ভিডিও, তথ্যচিত্র এবং বইয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে গভীর সচেতনতা তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।
২. অল্প তাপমাত্রা প্রভাবিত প্রযুক্তির গ্রহণ:
বর্তমানে, পৃথিবী যা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা হলো গ্রীনহাউস গ্যাসের অতিরিক্ত নির্গমন। এক্ষেত্রে, নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস যেমন সূর্যশক্তি, বায়ুশক্তি, এবং জলশক্তি ব্যবহারের প্রচলনকে আরও বাড়াতে হবে। তাছাড়া, আরও সাশ্রয়ী, পরিচ্ছন্ন এবং শক্তির দক্ষ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও গ্রহণ দরকার।
এছাড়া, স্থানীয় সরকার এবং বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলোর উচিত শক্তির ব্যবহারকে স্বচ্ছন্দ এবং ন্যূনতম ক্ষতিকর পর্যায়ে সীমিত রাখা, এবং দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানির ব্যবহারে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটানো। ভারী শিল্পে এবং কৃষিক্ষেত্রে বৈশ্বিক উত্পাদন ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সঞ্চয়ী পদ্ধতির ব্যবহার এবং পরিসংখ্যান-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে।
৩. পরিবেশগত নীতি ও আইন প্রতিষ্ঠা:
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদগুলির যে ক্ষতি হচ্ছে, তা মোকাবিলার জন্য প্রতিটি দেশের সরকারকে কার্যকরী পরিবেশগত নীতি গঠন করতে হবে। আন্তর্জাতিক জলবায়ু চুক্তির সাথে সংযুক্ত থেকে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের সরকারগুলোর উচিত শক্তিশালী এবং কঠোর আইন প্রণয়ন করা, যাতে কার্বন নিঃসরণ, বনায়ন এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা সুনিশ্চিত হয়।
এছাড়া, সবুজ অর্থনীতির দিকে পা বাড়ানো, পরিবেশ-বান্ধব কৃষি উদ্যোগ নেওয়া এবং প্লাস্টিক বর্জন বা পুনঃব্যবহারের উন্নয়নসহ পরিবেশ সুরক্ষায় সামাজিকভাবেও সচেতনতা বৃদ্ধি করার বিকল্প নেই। এ ধরনের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চুক্তির মাধ্যমে পরিবেশের অবস্থা খুব দ্রুত উন্নতি করতে পারে।
৪. জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধের জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা বৃদ্ধি:
পরিবর্তন আনতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে জলবায়ু সংকটের কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করা। এজন্য সরকারী ও বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষভাবে সমর্থন করতে হবে, যাতে তারা নতুন ধরনের কার্বন ফিল্টার প্রযুক্তি, হাওয়ার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র, এবং পরিবেশগত গবেষণায় নতুন পথ অনুসন্ধান করে।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এই গবেষণায় বিশেষ মনোযোগী হতে হবে এবং তাদের তরুণ বিজ্ঞানীদের জলবায়ু সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজে লাগাতে হবে।
সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ:
যদিও পরিবর্তনের উপায় রয়েছে, তবে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অনেক বৃহত্তর চ্যালেঞ্জও রয়েছে যা আমাদের সমাধান করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো:
১. বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা এবং ঐক্যবদ্ধতা:
জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং একক দেশের উপায়ে এর সমাধান অসম্ভব। বিশেষ করে বড় বড় শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্রীনহাউস গ্যাসের নির্গমন অনেক বেশি। তাই, জলবায়ু সংকট সমাধানে সকল দেশের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানো অপরিহার্য। তবে, এ ক্ষেত্রে বড় দেশগুলো যেমন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ইত্যাদির সহযোগিতা না থাকলে এককভাবে ছোট দেশগুলো এই বিপর্যয় ঠেকাতে সক্ষম হবে না।
এছাড়া, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জলবায়ু সংকট বিষয়ে আলাদা মতামত থাকায় আন্তর্জাতিক চুক্তি বাস্তবায়ন বা জলবায়ু নীতি গ্রহণ অনেক সময় বিলম্বিত হয়ে থাকে।
২. অর্থনৈতিক বাধা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা:
বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশ এখনও প্রাথমিক উন্নয়ন পর্যায়ে রয়েছে এবং তাদের জন্য শক্তিশালী পরিবেশ নীতি গ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শিল্প খাতে পরিবেশগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তাই, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বিশেষ প্রণোদনা এবং সহায়তা দেওয়া জরুরি, যাতে তারা তাদের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারে।
৩. নতুন মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ:
শিফটিং বেসলাইন সিনড্রোমের মতো মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জের কারণে, মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য একযোগভাবে কাজ করতে পারছে না। একদিকে, যেসব ব্যক্তি জলবায়ু পরিবর্তনের গুরুতর প্রভাবগুলো অনুভব করছেন, তারা অনেক সময় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারে না, অন্যদিকে যারা এই সমস্যা জানেন, তারা তাদের নীতি বা উদ্যোগে সংশয় প্রকাশ করেন।
এছাড়া, শক্তিশালী লবিংয়ের মাধ্যমে কিছু কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান এখনও গ্রীনহাউস গ্যাসের নির্গমন বন্ধ করতে চান না, যা গোটা বৈশ্বিক জোটের প্রভাব নষ্ট করে।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং শিফটিং বেসলাইন সিনড্রোম মোকাবিলায় শুধু সরকার, বিজ্ঞানী কিংবা প্রতিষ্ঠানের চেষ্টাই যথেষ্ট নয়; এটি একটি সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার চ্যালেঞ্জ। আমাদের এখনই সচেতন হয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তা না হলে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য পৃথিবী বাসযোগ্য থাকবে না। তাই আমাদের সবাইকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে হবে, ব্যক্তিগত এবং সামাজিক পর্যায়ে কাজ করে এই সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
আপনার ভাবনা কী? জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আপনি কীভাবে পরিবর্তন আনবেন? মন্তব্যে জানাবেন।