রাজধানী ঢাকায় পান্থকুঞ্জ পার্ক দিয়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের র্যাম্প নামানোর পরিকল্পনা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ এই উদ্যোগকে প্রকৃতিবিধ্বংসী কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই পার্ক রক্ষা করতে এবং প্রকল্পটি বাতিল করতে নাগরিকদের বিভিন্ন সংগঠন একত্রিত হয়ে এক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। পান্থকুঞ্জ পার্ক
প্রকৃতিবিধ্বংসী প্রকল্পের বিরুদ্ধে আনু মুহাম্মদের বক্তব্য
আনু মুহাম্মদ নাগরিক সমাবেশে বলেন, “পান্থকুঞ্জ পার্ক দিয়ে র্যাম্প নামানো প্রকৃতিবিধ্বংসী কাজ। এটি বাদ না দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করছি। সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।” তিনি আরও বলেন, “সরকারের উচিত প্রকৃতি রক্ষা করে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা।”
নাগরিক আন্দোলনের দাবি
‘বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন’ নামক প্ল্যাটফর্মের অধীনে বিভিন্ন সংগঠন ৩০ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। তারা দাবি জানিয়েছে, প্রকৃতি রক্ষায় এই প্রকল্প বাতিল করতে হবে। পরিবেশ সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, পান্থকুঞ্জ পার্কের মতো একটি সবুজ এলাকা ধ্বংস করা হলে ঢাকার পরিবেশ আরও খারাপ হয়ে উঠবে। পান্থকুঞ্জ পার্ক
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সরকারি উদ্যোগের সমালোচনা
আনু মুহাম্মদ সরকারের পূর্ববর্তী প্রকল্পগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষার সমালোচনা করে বলেন, “পরিবর্তন এসেছে বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে সেসব চুক্তি অব্যাহত রয়েছে যা প্রকৃতি ধ্বংসের কারণ।” তার বক্তব্যে, “সরকারের উচিত প্রকল্পগুলোর পুনর্মূল্যায়ন করে পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ করা।”
নগর পরিকল্পনাবিদদের উদ্বেগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আকতার মাহমুদ উল্লেখ করেন, ঢাকায় পার্ক ও খেলার মাঠের অভাব প্রকট। নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রকৃতির জন্য আরও জায়গা বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদি হাসান একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান, যেখানে ঢাকা শহরে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
পরিবেশ রক্ষায় রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাব
গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী নাঈম উল হাসান বলেন, “রাজনীতিতে প্রাণ-প্রকৃতির জন্য কোনো জায়গা নেই। এটি একটি বড় সমস্যা।” তিনি আরও বলেন, “পরিবেশকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে নতুন ধারা প্রয়োজন।”
উপসংহার
পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষায় এই নাগরিক আন্দোলন জলবায়ু পরিবর্তনের সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংস না করে, বরং পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া এখন সময়ের দাবি। আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন এবং পরিবেশ সংক্রান্ত এমন আরও বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
CTA: আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন এবং পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে আরও জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।