32.1 C
Bangladesh
বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
spot_img

তিস্তার বুকে বালুচর, পাড়ের মানুষের দুঃখ শুনতে আসছেন দুই উপদেষ্টা

তিস্তা নদী এবং তার রূপ পরিবর্তন

তিস্তা নদী বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, কিন্তু এর বর্তমান পরিস্থিতি যেন একটি অন্তহীন দুঃখের গল্প। শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় পানির অভাবে বিস্তীর্ণ অঞ্চল শুকিয়ে বালুচরে পরিণত হয়। বর্ষার সময় আবার উল্টো অবস্থা—পানি এতটাই বেশি যে বন্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতি কেবল তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন করে তুলছে না, বরং এটি পরিবেশ এবং জলবায়ুতেও ভয়ানক প্রভাব ফেলছে। তিস্তা নদীর পানির অভাব

তিস্তা পাড়ের মানুষের দুর্দশা

তিস্তা পাড়ের মানুষ প্রতিনিয়ত ভাঙন, বন্যা, এবং পানির অভাবে ভুগছেন। বালুচরের কারণে চাষাবাদ কমে গেছে, জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়নের দাবি জানালেও কার্যকর কোনো সমাধান এখনো আসেনি। তিস্তা নদীর পানির অভাব

গণ শুনানি: একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ

তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখের কথা সরাসরি শুনতে রংপুরের কাউনিয়ায় গণ শুনানি আয়োজন করা হচ্ছে। এতে অংশ নিতে আসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এই গণ শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন।

শুনানির উদ্দেশ্য ও সম্ভাব্য প্রভাব

গণ শুনানিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্দশার কথা শোনা হবে এবং সমাধানের পথ বের করার জন্য বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে। এটি স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবিকে আরও জোরালো করে তুলবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করতে পারে।

তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন: একটি জরুরি প্রয়োজন

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদীর পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে এবং পরিবেশ রক্ষা পাবে। তবে, পরিকল্পনার দীর্ঘসূত্রিতা এবং রাজনৈতিক জটিলতা এই প্রকল্পকে আটকে রেখেছে।

তিস্তার প্রভাব: পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন

তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনার অভাব পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে অঞ্চলটি মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত বন্যা জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে।

সমাধানের উপায় ও আমাদের দায়িত্ব

১. সুষ্ঠু পানির ব্যবস্থাপনা: আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা।

২. মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন: দ্রুত এবং কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।

৩. জনসচেতনতা: পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

৪. টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প: নদীভাঙন রোধ এবং কৃষির উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা।

শেষ কথা: তিস্তার বাঁচার আকুতি

তিস্তা নদী কেবল একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, এটি তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিস্তার রূপ পরিবর্তন কেবল স্থানীয় মানুষ নয়, পরিবেশ এবং জলবায়ুকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সময় এসেছে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার এবং নদী ও মানুষের জীবনকে রক্ষার।

আপনার মতামত দিন! তিস্তা পাড়ের মানুষের এই দুঃখ নিয়ে আপনার ভাবনা কী? আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে পোস্টটি শেয়ার করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ