মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে স্থানীয় মানুষ। ধলাই নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল, যা আশপাশের এলাকাগুলোর পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন
বিক্ষোভের গুরুত্ব
মঙ্গলবার সকালে জসমতপুর এলাকার পাঁচ শতাধিক মানুষ মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন যে, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীতীরবর্তী এলাকা, ফসলি জমি, একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এবং বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। প্রতিবাদকারীরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হয়, তাহলে আগামী বর্ষায় নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
ধলাই নদীর সংকট
ধলাই নদী এই অঞ্চলের জীবিকা ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, ইজারা ছাড়াই প্রভাবশালী মহল দ্বারা বালু উত্তোলন চলতে থাকার ফলে নদীর তীর রক্ষা বাঁধের স্থিতি বিপন্ন হচ্ছে। বহু বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চলার পরও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের কোন কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি।
প্রশাসনিক উদ্যোগ
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানিয়ে দিয়েছেন যে, বন্ধ করার জন্য প্রশাসন অভিযান চালিয়ে তিনটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, এই উদ্যোগের ফলে বালু উত্তোলন বন্ধ হবে এবং নদী তীর রক্ষা করা সম্ভব হবে।
সরকারের ভূমিকা
এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণও গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ রক্ষা, ফসলি জমি সংরক্ষণ এবং বসতবাড়ি রক্ষায় সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।