32.1 C
Bangladesh
বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
spot_img

শ্রবণক্ষমতা রক্ষায় এখনই সচেতন হোন : পরিবেশ উপদেষ্টা

বাংলাদেশে শব্দদূষণ দ্রুত বাড়ছে, যা শুধু পরিবেশের ওপরই নয়, মানুষের শ্রবণস্বাস্থ্যের ওপরও গুরুতর প্রভাব ফেলছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সম্প্রতি একটি আলোচনাসভায় বিষয়টি তুলে ধরেন, যেখানে তিনি শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব এবং সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব শ্রবণ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এই সভায়, তিনি জানান যে শব্দদূষণ কেবল শ্রবণক্ষমতা হ্রাসের কারণ নয়, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্যও এক বড় ধরনের হুমকি। শ্রবণক্ষমতা রক্ষায় এখনই সচেতন হোন শ্রবণক্ষমতা রক্ষায় এখনই সচেতন হোন

শব্দদূষণ কীভাবে শ্রবণস্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে?

শব্দদূষণের প্রভাবে শহরাঞ্চলের বাসিন্দারা ক্রমশ শ্রবণজনিত সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। বিশেষ করে যানবাহনের হর্ন, শিল্প-কারখানার আওয়াজ, এবং উচ্চ শব্দে মাইক ব্যবহারের কারণে শ্রবণক্ষমতা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এই শব্দদূষণ শুধুমাত্র শহরের জনগণের জন্য নয়, বরং কৃষি বা গ্রামীণ অঞ্চলেও একটি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেখানে নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় শব্দ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্থান করে নিচ্ছে।

একটি গবেষণা অনুযায়ী, শব্দদূষণ পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যা আমাদের মনোযোগ এবং স্বাস্থ্য সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। শহরাঞ্চলে শব্দদূষণ এমন একটি স্তরে পৌঁছেছে যে, প্রায় প্রতি দশজনের মধ্যে একজন শ্রবণক্ষমতা হারাচ্ছেন। এর প্রধান কারণ হিসেবে যাত্রা, যানবাহন, এবং উচ্চ শব্দের ব্যবহারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রবণক্ষমতা রক্ষায় এখনই সচেতন হোন

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ও নাগরিকদের দায়িত্ব

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, সরকার একাই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। এর জন্য জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, “শব্দদূষণ রোধে আমরা কিছু নীতিমালা তৈরি করেছি, তবে নাগরিকদেরও সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।” এতে, নাগরিকদের উদ্দেশ্য হলো অপ্রয়োজনীয় হর্ন বাজানো বন্ধ করা, সামাজিক অনুষ্ঠান ও দৈনন্দিন কাজে শব্দ কমানো, এবং শব্দদূষণ রোধে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার। শ্রবণক্ষমতা রক্ষায় এখনই সচেতন হোন

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

এই আলোচনাসভায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবিদরা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হওয়া দরকার। শব্দদূষণ রোধে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।

ইএনটি হাসপাতালের অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ খান এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, “শ্রবণক্ষমতা হারানো একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যার ফলস্বরূপ বিভিন্ন মানসিক চাপ এবং সামাজিক অবস্থাও সৃষ্টি হয়। আমাদের লক্ষ্য হতে হবে, শব্দদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে মানুষ সহজেই জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করতে পারে।”

সচেতনতা ও মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি

বিশ্ব শ্রবণ দিবসের আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছিলেন, শব্দদূষণ রোধে সবচেয়ে জরুরি হলো মানসিকতার পরিবর্তন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শব্দের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সচেতনতা গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের প্রয়োজন সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, যা আমাদের প্রিয় শহরগুলিকে স্বাস্থ্যকর এবং সুখী করবে।

শেষ কথা

শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব। সরকারের পদক্ষেপগুলির পাশাপাশি, আমাদের মনোভাবের পরিবর্তন, সচেতনতা এবং শব্দ কমানোর দিকে পদক্ষেপ নিতে হবে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন শ্রবণক্ষমতা রক্ষা পাবে, তেমনি পরিবেশও বাঁচবে।

এখনই সময়, শ্রবণস্বাস্থ্য রক্ষা করতে সক্রিয় হোন।

🔔 অংশগ্রহণ করুন, সচেতন হন, এবং আপনার পরবর্তী পোস্টে এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা শেয়ার করুন!

Call-to-Action:

আপনার আশপাশে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে? মন্তব্যে জানান এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমাদের পাশে থাকুন।

#শ্রবণস্বাস্থ্য #শব্দদূষণ #পরিবেশ #জনস্বাস্থ্য #ClimateAction #WorldHearingDay #HealthAwareness #SaveThePlanet

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ