31 C
Bangladesh
বুধবার, জুন ২৫, ২০২৫
spot_img

কুমিল্লায় ইটভাটায় বিক্ষোভ: মোবাইল কোর্ট বন্ধের দাবি

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ইটভাটার মালিকরা মোবাইল কোর্ট, জরিমানা এবং ভাঙচুর বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করেন। তারা এই সমাবেশে পরিবেশ রক্ষায় সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি জানান। তাদের বক্তব্য ছিল, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা ইটভাটায় পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, তবে চলমান মোবাইল কোর্ট তাদের ব্যবসা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। কুমিল্লায় ইটভাটায় বিক্ষোভ

আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতারা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। তারা সরকারকে স্মারকলিপি প্রদান করেন, যাতে ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়। এছাড়া তারা সরকারের কাছে দাবি জানান, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হোক এবং একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক।

ইটভাটা মালিকদের দাবি:

ইটভাটা মালিকরা বলেন, বাংলাদেশের নির্মাণ শিল্পে ইটের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে, যা দেশের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তারা দাবি করেন, ইটভাটায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়ু দূষণ মাত্রা কমানো সম্ভব, এবং এই প্রযুক্তি এখন দেশের ইটভাটাগুলিতে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তাদের মতে, ইটভাটা বর্তমানে ৫-১০ শতাংশ বায়ুদূষণ ঘটাচ্ছে, যা আগে ছিল ৫৮ শতাংশ। তারা আরও বলেন, যদি কোনো ইটভাটা বন্ধ করতে হয়, তবে সরকারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।

পরিবেশ রক্ষা এবং প্রযুক্তির ভূমিকা

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জিগজাগ ইটভাটায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ আরও কমানো সম্ভব। বর্তমানে, দেশের ইটভাটাগুলির মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কারণে পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব অনেকাংশে কমেছে।

এই সমাবেশে উপস্থিত নেতারা মনে করেন, যদি সরকার তাদের দাবি মেনে নেয় এবং দীর্ঘ মেয়াদী নীতিমালা প্রণয়ন করে, তবে ইটভাটা মালিকরা আরও ভালোভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হবে এবং পরিবেশের উপর যে চাপ রয়েছে তা আরও কমে যাবে। কুমিল্লায় ইটভাটায় বিক্ষোভ

ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা এবং নতুন নীতিমালা

এছাড়া, ইটভাটা মালিকদের অন্যতম দাবি হলো, ইটভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা এবং পরিচালনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরি করা। তারা মনে করেন, এটি তাদের ব্যবসার জন্য আরও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে পরিবেশের উপর ভালো প্রভাব ফেলবে।

সমাবেশের শেষে স্মারকলিপি জমা

বিক্ষোভ সমাবেশের শেষে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ইটভাটার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও সহায়তা প্রদান এবং প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ করা।

শেষ কথ

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন, যা শুধু ইটভাটা মালিকদের ব্যবসার স্বার্থেই নয়, বরং পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ওপরও প্রভাব ফেলছে। এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের প্রতি তাদের দাবি পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। যদি এই দাবি মেনে নেওয়া হয়, তবে ইটভাটাগুলি আরও পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই হতে পারে, যা বাংলাদেশের কৃষি ও শিল্প খাতের জন্য একটি বড় সুবিধা হতে পারে।

Call to Action: আপনি কী মনে করেন, পরিবেশ রক্ষা এবং ইটভাটার উন্নয়ন একসাথে সম্ভব? এই বিষয়ে আপনার মতামত শেয়ার করুন এবং আমাদের সাথে আলোচনা করুন!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ