গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রবিবার ৩৭টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ চলছিল, তবে আজ সোমবার তা কিছুটা কমলেও এখনো ৯টি জেলায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, এই তাপপ্রবাহ আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে। তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ ৯ জেলা
তাপপ্রবাহের বিস্তার
এখনও যে ৯টি জেলায় তাপপ্রবাহ বইছে, সেগুলি হল—ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, ফেনী, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা। এই অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের অন্যান্য এলাকায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে এবং আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে, যা আরও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এছাড়া রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ ৯ জেলা
তাপমাত্রা পরিস্থিতি
সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীতে, যেখানে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যান্য অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও, সার্বিকভাবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
পরবর্তী পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া, বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ ৯ জেলা
পরিস্থিতির গুরুত্ব
এ সময়ের তাপপ্রবাহ দেশের কৃষি, পানি সরবরাহ ও জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে চাষাবাদ এবং কৃষি উৎপাদনে এই গরমের প্রভাব পড়বে। জনস্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে, তাই সকলের উচিত এই অবস্থায় সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এ বিষয়ে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বার্তা
আবহাওয়া অধিদপ্তর সকলকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে যে কোনো প্রকার সমস্যার সৃষ্টি হলে তা দ্রুত সমাধান করা যেতে পারে। পানি সাশ্রয়ী ব্যবহারের পাশাপাশি ছাতা বা অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থার ব্যবহার প্রয়োজন।
পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে, তাই সকলকে সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
শেষ কথা
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের ওপর অনেক গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। সুতরাং, আমাদের উচিত সচেতন থাকা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।