ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ বাতিলের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে এই সংযোগ সড়ককে ‘রাজধানীর পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল ধ্বংসকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় এই আন্দোলনের আওতায় গাছ রক্ষা আন্দোলন, ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল এলাকা—পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল—রক্ষার জন্য সোচ্চার হয়ে উঠেছে। গাছ রক্ষা আন্দোলনের চিঠি
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প: পরিবেশগত বিপর্যয়
ঢাকা শহরের পরিবেশ রক্ষার জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও, কিছু প্রকল্পের কারণে পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য পানি নিষ্কাশনের গুরুত্বপূর্ণ পথ হাতিরঝিল ভরাট করা হয়েছে, আর পান্থকুঞ্জ পার্কের অন্তর্গত ২ হাজার গাছ ধ্বংস করা হয়েছে। এই প্রকল্পের কারণে গাছ রক্ষা আন্দোলন পুরোদমে কাজ শুরু করেছে, যেখানে তাদের মূল লক্ষ্য হলো প্রকল্পের পুনর্মূল্যায়ন ও প্রকৃত পরিবেশগত সমীক্ষা করা।
গাছ রক্ষা আন্দোলনের চিঠি: প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি
গাছ রক্ষা আন্দোলন ঢাকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, এবং পরিবেশে ক্ষতি করার অভিযোগ তুলে ধরেছে। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করা, যা দেশের স্বার্থে উপযোগী হবে।
- হাতিরঝিল ভরাট করে স্থাপিত পিলারগুলো সরিয়ে জলাধারের পরিবেশ এবং প্রাণবৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার করা।
- পান্থকুঞ্জ পার্কে চলমান প্রকল্পের কাজ বন্ধ করা যাতে প্রকৃত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা যায়।
- সম্পূর্ণ প্রকল্পের কারিগরি নকশা, অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন, পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন, এবং সামাজিক প্রভাবগত বিশ্লেষণ জনসমক্ষে প্রকাশ করা।
- প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা, যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিবেশগত বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
একটি জাতীয় আন্দোলন: পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা
গাছ রক্ষা আন্দোলন তার দাবিগুলি সঠিকভাবে তুলে ধরে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছে। পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রক্ষায় এই আন্দোলন রাষ্ট্রীয় ও নাগরিক পর্যায়ের ব্যাপক সহমত অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ঢাকা শহরের পরিবেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা অন্যান্য শহর ও অঞ্চলেও অনুপ্রেরণা হতে পারে। গাছ রক্ষা আন্দোলনের চিঠি
সমাজের প্রতিক্রিয়া: একসাথে কাজ করার সময়
গাছ রক্ষা আন্দোলনের সংগঠনগুলো শুধু প্রকল্পের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়নি, বরং তারা সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত সক্রিয় হয়ে কাজ করছে। পান্থকুঞ্জ এবং হাতিরঝিলের মতো এলাকাগুলো শহরের জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাদের রক্ষা করা না হলে ভবিষ্যতে পরিবেশগত বিপর্যয় আরও তীব্র হবে।
কীভাবে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারেন?
এমন একটি পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে আপনি কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন? প্রথমত, পরিবেশ সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনিও যদি পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখতে চান, তাহলে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এমনকি আপনার দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট পরিবর্তনও পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
শেষ কথা: পরিবেশ রক্ষায় একযোগী প্রচেষ্টা
এখন সময় এসেছে, সবাই মিলে পরিবেশ রক্ষায় একযোগী প্রচেষ্টা চালানো। ঢাকার খ্যাতনামা গাছগুলো, পার্ক এবং জলাধার রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। গাছ রক্ষা আন্দোলনের মতো সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছে এবং তারা সরকারের কাছে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানিয়েছে।
ঢাকা শহরের পরিবেশের সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, এবং আমরা সবাই যদি এই সংগ্রামে একসাথে কাজ করি, তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ, সবুজ ঢাকা রেখে যেতে পারব।
Call-to-Action (CTA):
আপনি যদি পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চান, তাহলে আমাদের পণ্য/সেবা কিনে এই উদ্যোগে সহায়তা করুন এবং আপনার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন!