জাপানের উত্তরাঞ্চলীয় ইওয়াতে অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলের কারণে অন্তত ৮০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৬০০ জনের বেশি বাসিন্দা নিজেদের ঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, আগুন নেভাতে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হচ্ছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। জাপানে দাবানলে পুড়ল ৮০ ভবন
বিপজ্জনক পরিস্থিতি
বুধবার রাতে দাবানল শুরু হওয়ার পর, এটি দ্রুত ফাঁসিয়ে নেয় ইওয়াতে অঞ্চলের ওফুনাতোর বনাঞ্চল। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে-র প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। মেয়র কিয়োশি ফুচিগামি জানিয়েছেন, প্রায় ৬০০ হেক্টর জমি পুড়ে গেছে। তবে আগুনের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
সামরিক হেলিকপ্টারের সাহায্য
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য জাপানের সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্স আকাশ থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। স্থানীয় প্রশাসন জানায়, আগুনের বিস্তার অনেক বড়, তবে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।
দাবানলের প্রভাব ও পরিবেশ
জাপানে দাবানল একটি সাধারণ ঘটনা, তবে এ ধরনের বিপর্যয় বিশেষভাবে বৃষ্টি কমে যাওয়ার এবং বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়ার পর ঘটে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন এই ধরনের দাবানলের প্রকোপ বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৩ সালে, জাপানজুড়ে প্রায় ১,৩০০টি দাবানল ঘটেছিল, যা ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সিজনালভাবে বৃদ্ধি পায়। জাপানে দাবানলে পুড়ল ৮০ ভবন
সম্ভাব্য ভবিষ্যত বিপদ
জাপানের মতো দেশে দাবানল মোকাবিলায় যথাযথ প্রস্তুতির পাশাপাশি পরিবেশের পরিবর্তন যেন আরও ভয়াবহ পরিণতির দিকে না যায়, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যতে এমন আরো দাবানল ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, এবং সেক্ষেত্রে আরও বাড়তে পারে ক্ষয়ক্ষতি।
শেষ কথা:
এই ঘটনায় যেভাবে আগুনের বিস্তার ঘটেছে, তা পরিবেশ এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের আরও একটি কঠিন প্রমাণ। পরিবেশ সচেতনতা এবং জরুরি প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা এখন আগের চেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে।
আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকুন এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে আপনার মতামত শেয়ার করুন।