পরিবেশ রক্ষায় এক নতুন যাত্রা বরিশালের শিক্ষার্থীরা শপথ
“আমরা আগে জানতাম না প্লাস্টিক আর পলিথিন আমাদের জন্য এত বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে! আজ জানলাম, এগুলো শুধু পরিবেশ নয়, আমাদের স্বাস্থ্যকেও ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।” বরিশালের এক স্কুলছাত্রী এই কথাগুলো বলছিল, যখন সে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন হলো। বরিশালের শিক্ষার্থীরা শপথ
একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে, কেবল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ মাটিতে শত শত বছর থেকে যেতে পারে। এটি ধীরে ধীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপান্তরিত হয় এবং খাদ্যচক্রে মিশে প্রাণঘাতী রোগের কারণ হতে পারে।
শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা: বদলে ফেলার শপথ
ক্যাম্পেইনের পর, শিক্ষার্থীরা বলছে, “আগে আমরা বাজার থেকে পলিথিনে করে জিনিস নিয়ে আসতাম। এখন থেকে আমরা পুরনো অভ্যাসে ফিরব – কাপড়ের ব্যাগ, বাঁশের ঝুড়ি ব্যবহার করব। প্লাস্টিকের বিকল্প খুঁজে বের করাই আমাদের প্রথম কাজ।”
একজন শিক্ষার্থী উল্লেখ করল, “প্লাস্টিক বর্জনের জন্য আমাদের চারপাশের মানুষকে সচেতন করতে হবে। আমরা পরিবার ও বন্ধুদেরও এই বার্তা ছড়িয়ে দেব।”
প্লাস্টিকের ভয়াবহতা: অদৃশ্য বিপদ
বক্তারা জানান, প্রতিদিন আমাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য মাটিতে জমা হয়, যা শত শত বছর ধরে পরিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের বোতল ধ্বংস হতে প্রায় এক হাজার বছর সময় নেয়। আর এর ক্ষুদ্রাংশ, মাইক্রোপ্লাস্টিক, মানবদেহে প্রবেশ করে স্নায়ুতন্ত্র এবং মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বরিশালের শিক্ষার্থীরা শপথ
পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলা
পরিবেশ বাঁচাতে শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ আশা জাগায়। প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিকল্প যেমন কাপড়ের ব্যাগ, বাঁশের ঝুড়ি বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য পণ্য ব্যবহার করার জন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।
এটি শুধু শিক্ষার্থীদের কাজ নয়; আমরা সবাই যদি প্রতিজ্ঞা করি, তাহলে আমাদের পৃথিবীকে আরও বাসযোগ্য করে তোলা সম্ভব।
Call to Action: আপনি কি প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করেছেন? আপনার অভিজ্ঞতা বা উদ্যোগ শেয়ার করুন নিচের মন্তব্যে। পরিবেশ রক্ষায় আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি!