বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে, এবং বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। ডিসেম্বরে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমাদের জন্য একটি সতর্কতা সংকেত। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যেগুলির মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এই ধরনের বিপদের জন্য এখনই প্রস্তুতি নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এমনকি শীতকালীন শৈত্যপ্রবাহও দেখা দিতে পারে, যা তাপমাত্রাকে ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনতে পারে।
এছাড়া, ডিসেম্বর মাসে দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে দেশের প্রধান নদ-নদী বর্তমানে স্বাভাবিক প্রবাহে রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন: একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা এবং শৈত্যপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে, জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। ৩০ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘ফিনজাল‘ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারত এবং শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক বন্যা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এর মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে আমাদের আরও প্রস্তুতি নিতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস
সমস্যার সমাধান: আমরা কী করতে পারি?
এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যার সমাধানে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় ও শৈত্যপ্রবাহের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া এবং সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি, আমাদেরও পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন, গাছপালা রোপণ এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের সচেতনতা ও প্রস্তুতির কোন বিকল্প নেই। একে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের একে অপরের সহায়তায় এবং গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাই, এবার সময় এসেছে— আপনি কি প্রস্তুত?