গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন তৈরি হচ্ছে, যা পরিবেশের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি অনুষ্ঠানে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, গাছে পেরেক দিয়ে বিজ্ঞাপন লাগানোর বিরুদ্ধে বিশেষ বিধান রাখা হবে এই আইনে। এ কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং আইন কার্যকর হওয়ার পর এই নিয়ম ভঙ্গ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। গাছে পেরেক
কেন গাছে পেরেক লাগানো বিপজ্জনক?
গাছ আমাদের পরিবেশে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখে। গাছে পেরেক লাগানোর ফলে গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয় এবং ধীরে ধীরে তা মারা যায়। এর ফলে পরিবেশের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। আজকের এই অনুষ্ঠানে রিজওয়ানা হাসান আরও উল্লেখ করেন যে, এটি শুধুমাত্র গাছের জন্য নয়, জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি।
পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ
ধানমন্ডিতে গাছের পেরেক অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। রিজওয়ানা হাসান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বায়ুদূষণ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়াও, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহমিদা খানম, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, রাজউক, এবং বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই একমত যে, পরিবেশ রক্ষার জন্য আইন কার্যকর করাই একমাত্র সমাধান নয়, বরং জনসচেতনতা বাড়ানোও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
জনসচেতনতার প্রয়োজনীয়তা
গাছ সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে জনসচেতনতা ছাড়া এই উদ্যোগ সফল হবে না। সাধারণ মানুষকে গাছের গুরুত্ব এবং পরিবেশ রক্ষায় তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় এই আইন মানুষকে আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে বলে আশা করা যায়।
উপসংহার
গাছ পরিবেশের ফুসফুস হিসেবে কাজ করে। তাই গাছ সুরক্ষায় এই নতুন আইন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ হতে পারে। আইন কার্যকর করার পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
আপনার মতামত কী? গাছ সুরক্ষায় নতুন আইন নিয়ে আপনার চিন্তা ও প্রস্তাবনা শেয়ার করুন। আরও পরিবেশ সংক্রান্ত তথ্য পেতে আমাদের পেজে সাবস্ক্রাইব করুন।
