বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ
ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি – বায়ুদূষণ কমানোর জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের ধুলা এবং বায়ুদূষণ এক বছরে কমানো সম্ভব নয়, তবে ধুলাদূষণ কমানোর মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে। ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ
ধুলা দূষণ কমাতে সবুজায়নের গুরুত্ব
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আমাদের সড়ক বিভাজক বা আইল্যান্ডগুলো অনাবৃত থাকে, যা ধুলার প্রধান উৎস। যদি মাটিগুলো ঢেকে সবুজায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে ধুলার প্রকোপ অনেকাংশেই কমবে। আগামী বর্ষা থেকেই এই কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিনি এ কথা বলেন রবিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন হলে ঢাকার শেকড় সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা নিরসনে ছাদ বাগানের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে।
ছাদ বাগান ও শহরের সবুজায়ন
সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ছাদ বাগান শহরের সবুজায়নে একটি কার্যকরী উপায়। এটি শুধু বায়ুদূষণ কমায় না, বরং নগরীর তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। রিজওয়ানা হাসান ছাদ বাগানকে একটি পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ
বায়ুদূষণ কমাতে নাগরিক উদ্যোগ
বায়ুদূষণ কমানোর জন্য নাগরিকদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। ছাদ বাগান করা, গাছ লাগানো এবং রাস্তার ধুলা কমাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঢাকার বায়ুদূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। সবুজায়নের এই কার্যক্রম শুরু হবে আগামী বর্ষা থেকে এবং ধাপে ধাপে সারা শহরে প্রসারিত হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একসঙ্গে এগিয়ে চলুন
ঢাকার বায়ুদূষণ কমানোর এই উদ্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বড় পদক্ষেপ। আপনারা কীভাবে এই উদ্যোগে যোগ দিতে পারেন বা পরিবেশ সংরক্ষণে সাহায্য করতে পারেন, তা নিয়ে আপনার মতামত জানাতে নিচের কমেন্ট সেকশনে জানান। পরিবেশ সচেতন হোন এবং অন্যদেরও সচেতন করুন।