দুই বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও তাপমাত্রার পরিবর্তন
মাঘ মাসের শেষ প্রান্তে এসে আবহাওয়ায় দেখা যাচ্ছে নানান পরিবর্তন। তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি দেশের দুইটি বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের দু-একটি স্থানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে, সারা দেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে, যা প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে হচ্ছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা
তাপমাত্রার বর্তমান পরিস্থিতি
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, যেখানে তাপমাত্রা ছিল ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, যেখানে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এতে বোঝা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রায় বড় ধরনের তারতম্য রয়েছে, যা আসন্ন সময়ে আরো পরিবর্তন হতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার ও বুধবার দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে শুক্রবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টির সম্ভাবনা
বুধবার রংপুর ও সিলেট বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটি তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা বেশি, যদিও আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
কুয়াশার উপস্থিতি
আগামী কয়েক দিন সারা দেশে শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। কুয়াশার ঘনত্ব বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আবহাওয়া শুষ্ক থাকার কারণে তেমন ক্ষতিকর হবে না।
জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশের প্রভাব
বাংলাদেশের আবহাওয়ার পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের একটি স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি। শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, এবং অসময়ে বৃষ্টি কিংবা তাপমাত্রার অস্বাভাবিক ওঠানামা এখন সাধারণ ঘটনা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিবর্তনগুলোর পেছনে প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণও দায়ী। বায়ু দূষণ, বন উজাড়, এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট করছে।
পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের ভূমিকা
আবহাওয়ার পূর্বাভাস আমাদের জীবনযাত্রার পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে। তবে জলবায়ুর এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন রোধে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
- প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা।
- পরিবেশ দূষণ কমাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।
- স্থানীয় পরিবেশ রক্ষার জন্য সঠিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করা।
শেষ কথা: সচেতনতা জরুরি
তাপমাত্রার পরিবর্তন ও বৃষ্টির পূর্বাভাস শুধুমাত্র তথ্য নয়, বরং এটি আমাদের পরিবেশ ও জীবনের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত। আমরা যত বেশি সচেতন হবো, ততই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেঁচে থাকার সুযোগ পাবে।