জলবায়ু পরিবর্তন ও বিচ্ছিন্ন কার্যক্রমের বাস্তবতা
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা ও কার্যক্রম চলছে। তবে এই কার্যক্রমগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হচ্ছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ জানিয়েছেন, যদিও জলবায়ু ইস্যুতে জনসচেতনতা বেড়েছে, কার্যকর সমন্বিত উদ্যোগের অভাব রয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়
তিনি বলেন, “জলবায়ু নিয়ে যে নীতিগত আলোচনা হয়, তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বরাদ্দ ও পরিকল্পনায় প্রতিফলিত হয় না। চরম দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন, যা বর্তমানে অনুপস্থিত।”
নারী ও জলবায়ুর প্রভাব: অবহেলিত বাস্তবতা
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যেকোনো দুর্যোগের সময় নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। গৃহস্থালির দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া, নিরাপত্তাহীনতা, এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধার সম্মুখীন হওয়া—এসব কারণে নারীদের জীবনযাত্রার মান নিম্নমুখী হয়।
এমজেএফের পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী উপস্থাপিত প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরা কীভাবে দরিদ্র হচ্ছেন বা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, তা নিয়ে তেমন গবেষণা নেই। ফলে নীতিনির্ধারকদের কাছে এটি গুরুত্ব পাচ্ছে না।”
নীতিগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা
সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বরাদ্দ ও নীতির ক্ষেত্রে জেন্ডার-সংবেদনশীলতা বাড়ানো জরুরি। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ে কমিউনিটির মতামত সংগ্রহ করে তা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছানো উচিত।”
অন্যদিকে, ইউএন উইমেনের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট দিলরুবা হায়দার জানান, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নারীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, সুনির্দিষ্ট তথ্যের অভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।”
শেষ কথা
বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশে পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করলে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব নয়। সমন্বিত উদ্যোগ ও জেন্ডার-সংবেদনশীল নীতি বাস্তবায়ন করা না হলে নারীরা আরও বেশি সংকটে পড়বেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়
আপনার মতামত কী? আপনি কি মনে করেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের নীতিগুলো যথেষ্ট কার্যকর? কমেন্টে জানান!