সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড এলাকায় সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় বাধা দেওয়ার কারণে রাম জলদাস (৩২) নামের এক জেলেকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই লিটন জলদাস (২৭) অপহৃত হয়েছেন। সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ, কোস্টগার্ড, এবং ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। বালু উত্তোলনে বাধা
ঘটনার বিবরণ:
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাম এবং লিটন জলদাস মাছ ধরতে গিয়ে সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী একদল লোকের প্রতিবাদ করেন। এই সময়ই বালু উত্তোলনকারীরা রাম জলদাসকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে সাগরে ফেলে দেন। ঘটনার পর লিটন জলদাস চিৎকার করতে থাকেন, তখন তাঁকে নৌকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলনকারীরা জেলেদের জাল কেটে দেয় এবং তাদের প্রতিবাদ করার কারণে হয়রানি করে আসছে।
স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া:
বিষয়টি জানার পর স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি একাধিকবার প্রশাসনকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য জানিয়ে ছিলেন, তবে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। কয়েক দিন আগে বালু উত্তোলনকারীদের জরিমানা করা হলেও তাদের কর্মকাণ্ড থেমে যায়নি। বালু উত্তোলনে বাধা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনাটি জানার পর কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ এবং থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়েছে। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসও উদ্ধার কাজ করছে।
স্থানীয় মৎস্য সম্পদের ওপর প্রভাব:
স্থানীয় জেলেরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালু উত্তোলন তাদের মাছ ধরার জালের ক্ষতি করছে। এসব জাল কেটে দেওয়ার কারণে তাদের জীবিকা অর্জন ব্যাহত হচ্ছে। এলাকার মৎস্য কর্মকর্তার মতে, এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে প্রশাসনের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে।
শেষ কথা:
এটি শুধু একটি একক ঘটনা নয়, বরং সীতাকুণ্ড এবং এর আশপাশের এলাকার জেলেদের জন্য একটি চলমান সমস্যা। অবৈধ বালু উত্তোলন ও এর ফলে সৃষ্ট ক্ষতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জেলেরা যেন তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন, এর জন্য সঠিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
কল টু অ্যাকশন: এ ঘটনার বিষয়ে আপনার মতামত শেয়ার করুন এবং পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য আমাদের সাথে থাকুন।