29.6 C
Bangladesh
সোমবার, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
spot_img

ঢাকার নতুন প্রশাসক কীভাবে পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবেন?

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, তার দায়িত্ব গ্রহণের পর ঘোষণা করেছেন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা। তার লক্ষ্য মূলত নগরবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষা নিশ্চিত করা। নতুন প্রশাসক পরিবেশ রক্ষা

১. গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জনগণের অংশগ্রহণ:

মোহাম্মদ এজাজের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে জনগণের মতামত ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তিনি মনে করেন, যেকোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার আগে জনমত যাচাই অত্যন্ত জরুরি। এজন্য গণশুনানি ও পঞ্চায়েত ব্যবস্থা সক্রিয় করা হবে, যাতে শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো জনগণের চাহিদা ও মতামতের সাথে মিলে যায়।

২. পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ:

ঢাকা শহরের পরিবেশগত সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম জলাবদ্ধতা, যা সম্প্রতি নগরবাসীর জন্য বড় একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এজাজ জানিয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এটি সহনশীল পর্যায়ে রাখতে কাজ করা হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ। ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ এবং পানি দূষণ বর্তমানে ব্যাপক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, পিভিসি ব্যানার ব্যবহারের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এবং এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। PVC ব্যানার বাতাসে ভেঙে ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। এর পরিবর্তে তাঁরা পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চান। শহরের সড়কগুলোর পাশে অবৈধ পোস্টার ও ব্যানার অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে, এবং যেসব ব্যক্তি এগুলো লাগাবেন, তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ করা হবে। নতুন প্রশাসক পরিবেশ রক্ষা

এছাড়া, শহরের ময়লা-আবর্জনার সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে। বর্তমান সময়ে, ঢাকা শহরের বিভিন্ন অংশে আবর্জনা সঠিকভাবে সংগ্রহ বা প্রক্রিয়া করা হয় না, যার ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এজাজ বলেছেন, এ ধরনের অব্যবস্থাপনার কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়ছে এবং শহরের সৌন্দর্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অন্যদিকে, জলাশয় ও নদী-খালগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করারও কথা বলেছেন নতুন প্রশাসক। ঢাকা শহরের খাল ও নদীগুলোর বড় অংশ ভরাট হয়ে গেছে এবং এই জলাশয়গুলোর পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর মধ্যে নদী-খালের পানি প্রবাহ বৃদ্ধি এবং দখল মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

৩. আবাসনে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা:

মোহাম্মদ এজাজ সিটি করপোরেশনের অধীনে থাকা ৪০ শতাংশ মানুষের জন্য সঠিক আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চান। শহরের নাগরিকদের জন্য বসবাসের স্থান তৈরির জন্য তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আশাবাদী। তার মতে, শহরের খোলা জায়গাগুলোকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা এবং দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

এছাড়া, নতুন প্রশাসক নগরবাসীকে দুর্নীতি এবং দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত রেখে করপোরেশন পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি জনগণের সেবা দিতে যে কোনও কাজ শুরু করার আগে সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করবেন।

নগরের উন্নয়ন: শহরের জন্য কী অপেক্ষা করছে?

মোহাম্মদ এজাজের পরিকল্পনায় এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা শুধু পরিবেশের উন্নতি নয়, নাগরিকদের জীবনমানের উন্নতির দিকে এক বড় পদক্ষেপ।

এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত:

এজাজের পরিকল্পনা কার্যকর হলে, এটি কেবলমাত্র ঢাকা উত্তর সিটির উন্নয়ন নয়, দেশের অন্যান্য শহরেও এই ধরনের মডেল অনুসরণের আহ্বান সৃষ্টি করবে। অতএব, সকলের জন্য জীবনমানের উন্নয়ন এবং পরিবেশের সুরক্ষায় আমাদের সকলের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

শেষ কথা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন প্রশাসকের এসব পদক্ষেপ যদি সফল হয়, তবে তা পরিবেশ ও নাগরিকদের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। আপনার মতামত কি? আমরা চাই আপনিও আমাদের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করুন।

#ঢাকা #পরিবেশ_রক্ষা #নগর_উন্নয়ন #অবৈধ_পোস্টার #দূষণ_নিয়ন্ত্রণ #জলাবদ্ধতা #মোহাম্মদ_এজাজ #নগর_পরিকল্পনা

CTA: আমাদের আরও আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন এবং শেয়ার করুন!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ