গাইবান্ধায় ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই‘ আন্দোলনের শেষ মুহূর্তেও লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা এবং মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়নে আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি নিয়ে হাজার হাজার কৃষক, জেলে, শিক্ষার্থী, ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। তিস্তা বাঁচানোর শেষ মুহূর্তের আকুতি
এই অবস্থান কর্মসূচিতে গান, কবিতা, পথনাটক, এবং স্থানীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিস্তা নদীর সংকটের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। সারা দিনব্যাপী চলা এই কর্মসূচি শুধু প্রতিবাদ নয়, এটি পরিবেশগত এবং জীবিকাগত সংকটেরও চিত্র তুলে ধরে।
গাইবান্ধার কৃষক ও জেলেরা বলছেন: কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, ‘তিস্তার সংকট শুধু নদীর সংকট নয়, বরং কৃষি, জীবন-জীবিকা, পরিবেশ ও অর্থনীতির সংকট।’ এই অবস্থান কর্মসূচি সরকারের কাছে আরও কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানায়, যাতে তিস্তার পানি রক্ষায় সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়।
সংগীতের মাধ্যমে প্রতিবাদ: তিস্তা পাড়ের মানুষের দুঃখ-কষ্ট, বঞ্চনার কথা সংগীতের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মতে, সংগীত শুধু বিনোদন নয়, এটি প্রতিবাদের শক্তিশালী মাধ্যমও বটে, যা সবার হৃদয়ে পৌঁছে যাবে। তিস্তা বাঁচানোর শেষ মুহূর্তের আকুতি
রাজনৈতিক সমর্থন: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, এবং তিস্তার পানি নিয়ে সরকারের অবহেলার ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।’
শেষ কথা: আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যদি তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন না হয়, তবে তারা আরও বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেবেন। গাইবান্ধা সহ উত্তরের পাঁচ জেলার তিস্তা পাড়ের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করতে থেমে থাকবে না।
এ বিষয়ে আপনার মতামত কী? দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করা জরুরি। তিস্তা বাঁচাতে সবাই একসঙ্গে আসুন!’