বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৫৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রকল্পের সাব-ঠিকাদার সোহেল রানা। তিনি দাবি করেছেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি, কাজলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসহাক প্রামাণিক এবং সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম তার প্রকল্পের সাইটে হামলা চালিয়েছেন এবং তার প্রকল্পের ম্যানেজারকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বন্ধ
অভিযোগের বিস্তারিত
প্রকল্পটির কাজ চলছিল সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন এলাকায়, যেখানে ৫৭৮ কোটি টাকার যমুনা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ কাজ চলছিল। সাব-ঠিকাদার সোহেল রানা তার চুক্তি অনুযায়ী এই প্রকল্পে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ করছেন। গত বছর থেকে তিনি এই কাজ করে আসছেন। তবে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে বিএনপির নেতারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে প্রকল্পের ম্যানেজারকে মারধর করেন এবং কাজ বন্ধ করে দেন।
পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
সোহেল রানা জানান, তিনি বিষয়টি তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েছেন। তবে দুই দিন অতিবাহিত হলেও এখনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামিরুল ইসলাম জানান, তিনি অভিযোগের অনুলিপি এখনও পাননি এবং বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বন্ধ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমানও বলেন, ‘অভিযোগটি পেয়েছি এবং তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযোগের অস্বীকার
এদিকে কাজলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসহাক প্রামাণিক অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়নি এবং সোহেল রানা নাশকতার মামলার আসামি। তিনি জানান, তাদের পক্ষ থেকে কাজের কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
চূড়ান্ত মন্তব্য
এই ঘটনা পরিবেশ এবং নদী তীর সংরক্ষণের কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ প্রকল্পটি নদী ভাঙন রোধ এবং এলাকার পরিবেশ সুরক্ষায় সহায়ক। তবে রাজনৈতিক ও সামাজিক জটিলতা প্রকল্পের গতি থামিয়ে দিতে পারে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
শেষ কথা
এই ঘটনার তদন্তে কী ফলাফল আসে এবং প্রকল্পটির কাজ পুনরায় চালু হয় কিনা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে এটি পরিষ্কার যে, দেশের বড় প্রকল্পের কাজের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা শুধু পরিবেশের জন্য নয়, বরং দেশের উন্নয়নের জন্যও অত্যাবশ্যক।