32.3 C
Bangladesh
মঙ্গলবার, জুন ২৪, ২০২৫
spot_img

২৫ মার্চ থেকে ইট বিক্রি বন্ধের হুমকি: পরিবেশের ক্ষতি নাকি অর্থনৈতিক বিপর্যয়?

বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি দেশের পরিবেশ এবং জলবায়ুর উপর অমান্য করা নিষেধাজ্ঞাগুলোর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তাদের দাবি, যদি সরকার তাদের সাত দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করে, তাহলে আগামী ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে ইট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর ফলে পুরো দেশে ইট প্রস্তুতি এবং নির্মাণ কার্যক্রমে বিশাল বিপর্যয় আসতে পারে। এমনকি, আগামী বছর থেকে ইট উৎপাদন বন্ধের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। ২৫ মার্চ থেকে ইট বিক্রি বন্ধের হুমকি

পটভূমি

বাংলাদেশের ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়ার পর, দেশের ইটভাটা মালিকরা তাদের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশে অংশ নেন। এর মধ্যে রয়েছে ৫০ লাখেরও বেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান, যাদের বেশিরভাগ ইটভাটার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। যদি সরকার তাদের দাবিগুলি মেনে না নেয়, তবে একটি বিশাল অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে, যা শ্রমিকদের জীবনযাত্রা এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গভীর সংকট তৈরি করবে।

মূল দাবি

এই সাত দফা দাবি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:

১. ইট প্রস্তুতকারক শিল্পকে সরকারি শিল্পের মর্যাদা দেওয়া।

২. ইটভাটা মালিকদের প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য সরকারী সহায়তা।

৩. জটিলতা নিরসন এবং লাইসেন্স প্রাপ্তির দ্রুত প্রক্রিয়া।

৪. নির্মাণ শিল্পে ব্যবহৃত ইটের মান উন্নত করা।

৫. পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ও জ্বালানি ব্যবহার করা।

৬. স্থানীয় বাজারে ইটের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কাজ করা।

৭. পরিবেশ রক্ষায় সরকারী নিয়মনীতি ও নীতিমালা কার্যকর করা।

পরিবেশগত প্রভাব

যদিও দেশের উন্নয়ন জন্য ইট শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একই সঙ্গে এই শিল্পের পরিবেশগত প্রভাবও যথেষ্ট গুরুতর। ইট প্রস্তুতি প্রক্রিয়া প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন মাটি ও খনিজ, অতিরিক্তভাবে ব্যবহার করে এবং পাশাপাশি বায়ুদূষণ সৃষ্টি করে। তাই, সরকারের উচিত এই শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা, বিশেষত গ্রীন হাউস গ্যাস নিঃসরণের দিকে মনোযোগ দেওয়া। ২৫ মার্চ থেকে ইট বিক্রি বন্ধের হুমকি

বন্ধের পরিণতি

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদরা ইতোমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই সমস্যার সমাধান না হলে দেশের পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিস্থিতির উপর ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে। যদি ইট প্রস্তুতকারকরা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেন, তাহলে নির্মাণ খাতের জন্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এর ফলে জাতীয় অবকাঠামো উন্নয়ন কাজগুলো ব্যাহত হবে এবং গৃহ নির্মাণ, সড়ক নির্মাণ, সেতু নির্মাণসহ সব ধরনের নির্মাণ কার্যক্রমে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হবে।

উপসংহার

এদিকে, ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা একযোগে সরকারের কাছ থেকে তাদের দাবির স্বীকৃতি চাইছেন। তারা মনে করেন যে, ইট শিল্পের স্বার্থে একটি সুষ্ঠু ও পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ করা উচিৎ। এই অবস্থায়, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সঠিক পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আরও দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য

এই শিল্পের ভবিষ্যত এবং দেশের পরিবেশ রক্ষায় আপনি কী ভাবছেন? মন্তব্যে আপনার মতামত শেয়ার করুন এবং আরও জানুন দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবর।

#ইটবিক্রিবন্ধ #পরিবেশ #জলবায়ু #ইটভাটা #পরিবেশবান্ধব #বাংলাদেশ #উন্নয়ন #মাটি #নির্মাণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

আরও পড়ুন

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
spot_img

সর্বশেষ সংবাদ