প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। রবিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা বলেন, “দেশের পরিবেশ সুরক্ষা এবং মানুষের কল্যাণের জন্য আমাদের সকলকে আরো সৃজনশীল, পেশাদার এবং আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।” পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক মানসিকতা
এই বৈঠকে, তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর মতে, পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং সেই তালিকা অনুসরণ করে নিয়মিত মনিটরিং ও তদারকি চালানোর মাধ্যমে কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, “ঈদের আনন্দ আমরা পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে ভাগ করেছি, এখন কাজে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। আমাদের কাজের প্রতি সততা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
এছাড়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি কয়রা, আশাশুনি, সুবর্ণচর এবং পটিয়াসহ দেশের পানি দুস্প্রাপ্য এলাকাগুলিতে সুপেয় পানি নিশ্চিতকরণে জলাশয় ও পুকুর খননসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে, দেশের যেসব অঞ্চলে পানির সংকট রয়েছে, সেখানে জলাশয় খনন ও পানির সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ ভাবনা
এই বৈঠকের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্ব আবারও ফুটে উঠেছে। এখন সময় এসেছে সকলের একযোগভাবে এই দায়িত্ব গ্রহণের, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়। পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক মানসিকতা
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
পরিবেশ রক্ষা শুধু সরকারের কাজ নয়, আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার সম্ভাবনা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
শেষ কথা
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি উন্নত হবে এবং আমাদের প্রিয় পৃথিবী আগামী প্রজন্মের জন্য আরও বাসযোগ্য হবে।