হাতি সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম গ্রহণের ঘোষণা
হাতি সংরক্ষণে সরকার দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রমের মাধ্যমে হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল উন্নয়ন, নিরাপদ প্রজনন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, এবং হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।”
সরকারের উদ্যোগ
আজ ১৭ অক্টোবর, মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হাতি সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
সভায় হাতি সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের উপর আলোকপাত করা হয়। উপদেষ্টা বলেন, “সরকার হাতির বাসস্থানের উন্নয়ন এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে। হাতি সংরক্ষণে জনসচেতনতা বাড়াতে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।”
প্রকল্পের মূল লক্ষ্য
সরকারের এই প্রকল্পে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে হাতি সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটির আওতায় কিছু বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে:
- – হাতির জন্য খাদ্য উপযোগী গাছের বাগান সৃজন
- – হাতির জন্য জলাধার খনন
- – ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ চালিত বেড়া নির্মাণ
- – বায়োফেন্সিং নির্মাণ
- – এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন
- – হাতি পর্যবেক্ষণের জন্য টাওয়ার নির্মাণ
মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসন
মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার এবং আধুনিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, “বায়োফেন্সিং এবং অন্যান্য পদক্ষেপের মাধ্যমে মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত কমানো যাবে। একই সঙ্গে হাতির প্রাকৃতিক পরিবেশে নিরাপদ বসবাসও নিশ্চিত করা যাবে।”
হাতি সংরক্ষণে গুরুত্ব
হাতি সংরক্ষণ দেশের জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকার হাতি সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা এবং হাতির অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে চায়।
পরিশেষে
সরকারের উদ্যোগ দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জনসচেতনতা এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে হাতি সংরক্ষণ কার্যক্রমকে সফল করা সম্ভব হবে। আপনার মতামত দিন এবং আমাদের পরিবেশ সংক্রান্ত আরো আপডেট জানতে আমাদের নিউজলেটারে সাবস্ক্রাইব করুন।