পানি দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব : কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভেসে এলো মৃত পরপইস কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আবারও দেখা গেল একটি মৃত পরপইস, যা স্থানীয় এবং বৈজ্ঞানিক মহলে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে টেকনাফের বাহারছড়া সৈকতে ভেসে আসে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীটি। এটি ইন্দো-প্যাসিফিক ফিনলেস পরপইস হিসেবে পরিচিত, যার বৈজ্ঞানিক নাম নিওফোকেনা ফোকেনয়েডস।
বারবার পরপইসের মৃত্যু: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব?
গত ফেব্রুয়ারিতে হিমছড়ি এলাকায় দুইটি পরপইস মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এটি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরপইস দেখতে ইরাবতী ডলফিনের মতো হলেও, এদের পৃষ্ঠীয় পাখনা থাকে না। পরপইস একটি ছোট জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী, যার দৈর্ঘ্য ৫-৬ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত বসন্ত এবং গ্রীষ্মে এরা বাচ্চা প্রসব করে। পানি দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
পানি দূষণ এবং অন্যান্য হুমকি
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান বলেন, পরপইসটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাছ ধরার জালে আটকা পড়া, নৌকার সঙ্গে সংঘর্ষ, কিংবা অন্য কোনোভাবে আঘাত পাওয়ায় এটি মারা পড়েছে। এর পাশাপাশি, শব্দ দূষণ, পানি দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে।
আন্তর্জাতিক বিপন্ন প্রাণী তালিকায় পরপইস
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তথ্য অনুযায়ী, পরপইস ইতিমধ্যেই বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত। পানি দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন এদের জীবনকে ক্রমশ অনিশ্চিত করে তুলেছে।
সমুদ্র পরিবেশ রক্ষায় আমাদের করণীয়
পরপইস এবং অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু থেকে আমরা বোঝতে পারছি যে পানি দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন কতটা ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। সমুদ্র পরিবেশ সংরক্ষণ এবং দূষণ প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
পাঠকের প্রতি আহ্বান
সমুদ্রের পরিবেশ রক্ষায় আপনারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন? নিচে কমেন্টে জানান এবং আমাদের ব্লগটি শেয়ার করুন।